, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


প্রতারণার শিকার ওমর সানি-মৌসুমীর ছেলে, খোয়ালেন দুই কোটি টাকা 

  • আপলোড সময় : ২৯-০৯-২০২৩ ০২:৪০:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৯-২০২৩ ০২:৪০:০৫ অপরাহ্ন
প্রতারণার শিকার ওমর সানি-মৌসুমীর ছেলে, খোয়ালেন দুই কোটি টাকা 
জনপ্রিয় তারকা দম্পতি ওমর সানি-মৌসুমি দম্পতির পুত্র ফারদিন এহসান স্বাধীন পেশায় ব্যবসায়ী। এবার লাভের আশায় লগ্নি করে দুই কোটি টাকা লোকসান দিলেন এই তারকা পুত্র। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন ওমর সানি। সামাজিক মাধ্যমে ছেলে স্বধীনের একটি দীর্ঘ লেখা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে ওমর সানির শেয়ারকৃত ওই পোস্টে স্বাধীন লিখেছেন, ‘৪০-৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচার করেছেন নিশাত বিন জিয়া। আপনারা হয়ত এমটিএফই এবং এ রকম আরও অনেক অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা শুনেছেন। তবে কোনো অ্যাপ নয়, আজকে একজন ভণ্ড প্রতারক এবং অর্থ পাচারকারীর বাস্তব ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’

তিনি লেখেন, ‘নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এ ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি দিকে। তিনি নিজেই আমাকে দাওয়াত দেন। তারপর থেকেই চেনা-জানা। বিভিন্ন সময় নিশাত নিজে নিজেই তার একটি আইটি ব্যবসার ব্যাপারে আমাকে ও আমার কিছু বন্ধুদের বলতে থাকেন।

পরিচয় হওয়ার চার মাস পর আমাকে এবং আমার কিছু পরিচিত মানুষদের সঙ্গে তার একটু বন্ধুত্ব গভীর হওয়ার পরে কিছু নগদ অর্থ ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নেওয়া শুরু করেন। যদিও পরে জানা যায়, তার কোম্পানির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দূরের কথা, কোনো বৈধ ট্রেড লাইসেন্সই নেই।’

সানি-মৌসুমীপুত্র  আরও লিখেছেন , ‘আমার টাকাটা এক প্রকার ব্যবসায়িক লোনই বলতে পারেন। তারা এইসব লেনদেন যেন বাংলাদেশ সরকারের চোখে না পড়ে তাই সেগুলো বিটকয়েন অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে করে থাকত। যা আমি পড়ে জেনেছি। ধাপে ধাপে তাকে ব্যবসায়িক ইনভেস্টমেন্ট ধার আকারে দুই কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছি। এবং তার বিপরীতে তাকে আমি বলেছি যে, আমাকে সিকিউরিটি হিসেবে আমার ইনভেস্টমেন্ট মূল্যের ব্যাংকের চেক প্রদান করতে হবে। সেই চেক প্রদান করে সে আমার থেকে জানুয়ারি ২০২৩ সাল ২ কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা বুঝে নেন। বিভিন্ন সময় তার কাছে আমার হকের টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে এবং আমার অফিসের কর্মচারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়।’

এরপর অর্থপাচারের অভিযোগ এনে ফারদিন বলেন, ‘নিশাত বিন জিয়া প্রতারণা করে অর্থ দুবাই পাচার করে তিন লাখ দিরহাম অর্থাৎ প্রায় এক কোটি টাকা এক সপ্তাহে ব্যবধানে খরচ করেন। পরে আরও জানা যায়, তিনি প্রতারণার টাকা দিয়ে তার উচ্চবিলাসী জীবন দেখিয়ে গত ৮ মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করেছেন।’ তবে টাকা খুইয়ে বসে নেই সানিপুত্র। এরইমধ্যে ইতোমধ্যে নিয়েছেন আইনি পদক্ষেপ।

তার ভাষায়, ‘আমি ঢাকা ডিবি অফিসে গত এক মাস আগে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি। আমার পাশাপাশি সকল ভুক্তভোগীদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। অনেকেই এখন মামলা করবে বলে এগিয়ে যাচ্ছেন। চেক দিয়েছে অর্থ আমাকে প্রদান করতে পারেনি তাই আমি চেকের মামলা দিচ্ছি, কিন্তু এত প্রতারণা অর্থপাচার এগুলোর জন্য কি কোনো বিচার হবে না?’ জানা যায়, ফারদিনের সঙ্গে নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের পরিচয় ২০২২ সালে। তারপরই ব্যবসায়িক লেনদেনে জড়িয়েছেন তারা।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস